Sample Text

LightBlog

Breaking

LightBlog

রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৭

শিক্ষামন্ত্রী বললেন, “এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে”

রোববার (১৬ই জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে আয়োজিত দিকনির্দেশনামূলক এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মন্তব্য করেন যে, বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া অনলাইন ও বিকেন্দ্রীকরণের পর ঘুষ-দুর্নীতি বহুগুণে বেড়েছে তাই অনলাইন পদ্ধতি বাদ দিয়ে পূর্বের ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, অনলাইনে এত বেশি দুর্নীতি তা আগে কেন বলেননি। তাহলে তো আরো আগেই অনলাইন পদ্ধতি বাদ দিয়ে দিতাম। এমপিওভুক্তির দুর্নীতি প্রসঙ্গে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “পত্রিকায় প্রকাশিত এমপিওদুর্নীতির প্রতিবেদন শতভাগই সত্য।”

এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, “স্যার মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা একবার অষ্পষ্ট দেখে এমপিওর আবেদন রিজেক্ট করেন। আরেকবার অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখে রিজেক্ট করেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের হাতেই নিয়োগ আবার তারাই এমপিওভুক্তি করেন। এ কারণেই দুর্নীতি বেশি হয়। শিক্ষকদের ভোগান্তি বেড়েছে।”
অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং) ড. মো: সেলিম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, “অনলাইনে এমপিওতে মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে। উপজেলা, জেলা ও উপ-পরিচালকের দপ্তরে দুর্নীতি হচ্ছে।বিকেন্দ্রীকরণে দুর্নীতি বেড়েছে। এর একটা সমাধান চাই আমরা।”
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কোথাও দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হলে তা মাউশি’র মহাপরিচালক বা মন্ত্রীকে সরাসরি জানানোর জন্যও তিনি ভুক্তভোগীদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ভোগান্তি কমানো ও শিক্ষা অধিদপ্তরে কেন্দ্রীভূত না রেখে  এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া বিকেন্দ্রীকরণ ও অনলাইন পদ্ধতিতে করা শুরু হয় দুই বছর আগে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, ঘুষের স্তর বেড়েছে। ভোগান্তি ও হয়রানি বেড়েছে। এখন আগের চাইতে অন্তত দুই ধাপে বেশি ঘুষ দিতে হয়।
মন্ত্রী বলেন তাঁর বক্তৃতায় বলেন , ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সুনাম ফিরিয়ে আনতে হবে। পরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারদের কাজের সমন্বয় নেই বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

সূত্র:

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Adbox