প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের ই-মেইলে নন-এমপিও আইসিটি শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আজ একটি চিঠি প্রেরণ করলাম এবং দেশের প্রথম সারির জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশের জন্য তাদের মেইল ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলাম।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়,
আমি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বেগম জামিলা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক (আইসিটি)। অত্যন্ত ভরাক্রান্ত হৃদয় ও অসহায় হয়ে আপনার ওয়েব সাইটে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান অনুসারে একটি সবিনয় আবেদন করছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, মাননীয় তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় এর উদ্ভাবনী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ বছর যাবত এমপিও বিহীন অবস্থায় অভূক্ত থেকে ছেলে সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে ধার দেনা করে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমার মত আরো শত শত শিক্ষকের করুন অবস্থা দেখে দুই চোখে কান্না রাখতে পারি না। ছোট ছোট সন্তানদের ঈদের দিনের জন্য তাদের হাতে একটি নতুন জামা কিনে দিতে পারি নাই। রাতের অন্ধকারে স্ত্রী সন্তানদের রেখে বাহিরে গিয়ে প্রতিদিন ডুকরে ডুকরে কাঁদি। এই কান্নার আওয়াজ কেহ শুনেনা। 13/11/2011 এর পরিপত্রে আমাদের আইসিটি শিক্ষকদের বেতন বিল আটকে রাখে। অথচ আপনার সুযোগ্য ছেলের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মাধ্যমিক পর্যায়ে আবশ্যিক করা হয়েছে। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে এসে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিতে হচ্ছে এবং এমএমসি ড্যাশবোর্ডে রিপোর্ট দিতে হচ্ছে। পাশপাশি বিদ্যালয়ের অন্যান্য অফিসিয়াল কাজ আমরাই সম্পাদন করছি। মাসিক এমপিও বিল, ছাত্র/ছাত্রী রেজিঃ, ফরম পিলাফ, ওয়েব সাইটে নোটিশ প্রকাশ, বেতন রেজিষ্টার, ফলাফল শীট তৈরী ইত্যাদী কাজগুলো আমাদেরই সম্পাদন করতে হচ্ছে। অথচ কি এক নিষ্ঠুর নীতিমালার যাতাকলে পড়ে আজ আমরা না পারি কাউকে বলতে না পারি সইতে। আত্মহত্যা মহাপাপ তা না হলে আত্মহত্যার পথই বেচে নিতাম।
আমার বিশ্বাস আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সুযোগ্য ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এ বিষয়ে অবগত নেই। যার ফলে গত 2016 সালের মে মাসে একটানা আন্দোলন, পুলিশের গরম জল নিক্ষেপে হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরে আসি। আমার এই লেখাটুকু যদি প্রধানমন্ত্রীর নিকট পৌছে নিশ্চয় তিনি আমাদের বিষয়ে জরুরী সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন। একবুক আশা নিয়ে এই লেখাটুকু প্রত্যেক আইসিটি শিক্ষকের পক্ষে আমি লিখেছি। যদি কোন প্রকার ভুল ভ্রান্তি থাকে তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
বিনীত নিবেদক
আপনারই এক হতভাগা আইসিটি শিক্ষক
আমি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বেগম জামিলা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক (আইসিটি)। অত্যন্ত ভরাক্রান্ত হৃদয় ও অসহায় হয়ে আপনার ওয়েব সাইটে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান অনুসারে একটি সবিনয় আবেদন করছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, মাননীয় তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় এর উদ্ভাবনী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ বছর যাবত এমপিও বিহীন অবস্থায় অভূক্ত থেকে ছেলে সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে ধার দেনা করে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমার মত আরো শত শত শিক্ষকের করুন অবস্থা দেখে দুই চোখে কান্না রাখতে পারি না। ছোট ছোট সন্তানদের ঈদের দিনের জন্য তাদের হাতে একটি নতুন জামা কিনে দিতে পারি নাই। রাতের অন্ধকারে স্ত্রী সন্তানদের রেখে বাহিরে গিয়ে প্রতিদিন ডুকরে ডুকরে কাঁদি। এই কান্নার আওয়াজ কেহ শুনেনা। 13/11/2011 এর পরিপত্রে আমাদের আইসিটি শিক্ষকদের বেতন বিল আটকে রাখে। অথচ আপনার সুযোগ্য ছেলের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মাধ্যমিক পর্যায়ে আবশ্যিক করা হয়েছে। প্রতিদিন বিদ্যালয়ে এসে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নিতে হচ্ছে এবং এমএমসি ড্যাশবোর্ডে রিপোর্ট দিতে হচ্ছে। পাশপাশি বিদ্যালয়ের অন্যান্য অফিসিয়াল কাজ আমরাই সম্পাদন করছি। মাসিক এমপিও বিল, ছাত্র/ছাত্রী রেজিঃ, ফরম পিলাফ, ওয়েব সাইটে নোটিশ প্রকাশ, বেতন রেজিষ্টার, ফলাফল শীট তৈরী ইত্যাদী কাজগুলো আমাদেরই সম্পাদন করতে হচ্ছে। অথচ কি এক নিষ্ঠুর নীতিমালার যাতাকলে পড়ে আজ আমরা না পারি কাউকে বলতে না পারি সইতে। আত্মহত্যা মহাপাপ তা না হলে আত্মহত্যার পথই বেচে নিতাম।
আমার বিশ্বাস আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সুযোগ্য ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এ বিষয়ে অবগত নেই। যার ফলে গত 2016 সালের মে মাসে একটানা আন্দোলন, পুলিশের গরম জল নিক্ষেপে হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরে আসি। আমার এই লেখাটুকু যদি প্রধানমন্ত্রীর নিকট পৌছে নিশ্চয় তিনি আমাদের বিষয়ে জরুরী সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন। একবুক আশা নিয়ে এই লেখাটুকু প্রত্যেক আইসিটি শিক্ষকের পক্ষে আমি লিখেছি। যদি কোন প্রকার ভুল ভ্রান্তি থাকে তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
বিনীত নিবেদক
আপনারই এক হতভাগা আইসিটি শিক্ষক
মীর মোঃ মইজ উদ্দিন (রতন)
বেগম জামিলা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।
মোবাইল নং- 01716317819
বেগম জামিলা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।
মোবাইল নং- 01716317819
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়
আপনার কষ্টের সাথি আমরাও । অতি তারাতারি যেন আমাদের এমপিওভুক্ত করা হয়।
উত্তরমুছুন