নবম ও দশম শ্রেণির ১২টি পাঠ্যবই পরিমার্জন করে সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই পরিমার্জিত বই শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে
মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক
বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল
ইসলাম নাহিদ।
যেসব বই পরিমার্জিত হবে সেগুলো হলো: বাংলা
সাহিত্য, ইংলিশ ফর টুডে, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতা,
গণিত, উচ্চতর গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান, পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান,
হিসাববিজ্ঞান ও অর্থনীতি।
একটি সংগঠনের দাবি অনুযায়ী বাংলা বইয়ে যে
পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা পরিবর্তন হবে কি না এমন প্রশ্নে সভায় উপস্থিত
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, বাংলা সাহিত্য বইটির
পরিমার্জনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শ্যামলী নাসরীন চৌধুরীকে। কাজেই তাঁরা আশা
করতে পারেন, যে ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে তিনি উদ্ধার করতে পারবেন।
সত্যিকারের স্বাধীনতার যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ রক্ষা করে উনি ভুলের
পরিমার্জন করবেন বলে আশা করেন তিনি।
মডেল উত্তরপত্র অনুযায়ী খাতা মূল্যায়ন:
সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এখন থেকে এসএসসিসহ অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষার
খাতা মডেল উত্তরপত্র অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষকেরা
বোর্ড থেকে খাতা নেওয়ার সময় এই মডেল উত্তরপত্র পাবেন। পাশাপাশি ‘মার্কিং
স্কিম’ (কোন উত্তরের জন্য কেমন নম্বর পেতে পারে তার একটি নমুনা) দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম
নাহিদ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমদ
বলেন, বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট গবেষণা করে এটি করেছে। শিক্ষামন্ত্রী
বলেন, এখন দেখা যায় একই উত্তরপত্রের জন্য কেউ বেশি নম্বর পায়, আবার কেউ কম
নম্বর। সব শিক্ষার্থী যেন ন্যায্য নম্বর পায় সে জন্যই এটা করা হয়েছে। এই
পদ্ধতি অনুযায়ী খাতা দেখে এবারের এসএসসির ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপের
কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শেষ পর্যায়ে এসে কিছু অসৎ শিক্ষকের কারণে
প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে বা ফাঁস করছেন। এতে কিছু কোচিং সেন্টারও জড়িত।
কয়েকটি বিষয়ে পাবলিক পরীক্ষা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তের কথাও জানান মন্ত্রী।
সভায় শিক্ষাবিদদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, মোহাম্মদ কায়কোবাদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, রাশেদা কে
চৌধুরী, মনজুর আহমেদ, এমএম আকাশ, মো. আখতারুজ্জামান, শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী
প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন