মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক সবিনয়
নিবেদন এই যে, ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে আপনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর আপনি ডিজিটাল
বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে কম্পিউটার শিক্ষা চালু করেন। তারই
ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে একজন করে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ
দেয়া হয়। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তথ্য ও
যোগাযোগ বিষয়টি শিক্ষা ব্যবস্থার সকল ধারায় বাধ্যতামূলক করার কথা বলা
হয়েছে। তারই অংশ হিসাবে ২০১২ খ্রিস্টাব্দে মাধ্যমিক পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি বিষয়টি ষষ্ঠ থেকে পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত আবশ্যিক
বিষয় হিসাবে পাঠ্যসূচীতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়।
কিন্তু ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রের মাধ্যমে অনুমোদন প্রাপ্ত প্যার্টান ভুক্ত
বিষয় কম্পিউটার/আইসিটি বিষয়ের শিক্ষকদের এমপিও স্থগিত করে। মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনার বাণী, “২০২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত হতে হবে”।
ডিজিটালাইজেশনে নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত করার কারিগর কম্পিউটার/আইসিটি
শিক্ষকরা নিদারুণ অর্থকষ্টে আছে।
আপনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা
আইসিটি শিক্ষকরা প্রতিটি বিদ্যালয়ে নিয়মিত ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করে
মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে শ্রেণি কক্ষে পাঠদান, মাল্টিমিডিয়া
ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট এর কাজ সহ বিভিন্ন আইসিটি বিষয়ক কাজ করে আসছি। গত
২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ২৫ অক্টোবর এক পরিপত্রের মাধ্যমে আইসিটি শিক্ষকদের তথ্য
মাউশি সংগ্রহ করেন এবং এমপিও দেওয়ার লক্ষ্যে তথ্য যাচাই বাছাই করার পর
২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ডিসেম্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১ হজার ৩৫২ জন
শিক্ষকের একটি তালিকা প্রকাশ করে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বিগত ২০১৬
খ্রিস্টাব্দের ২৮ এপ্রিল এক পরিপত্রের মাধ্যমে সকল মাধ্যমিক পর্যায়ে তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি/কম্পিউটার) বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করা হলেও
শিক্ষকদের বেতন ভাতা স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান বহন করবে মর্মে পরিপত্র জারি করে।
পরিপত্র প্রকাশের পর সরকারি বিধি মোতাবেক
নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দেয়। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫
মে থেকে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষকগণ শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসুচি
পালন করে। এরপর গত ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুলাই আবার এক পরিপত্রের মাধ্যমে
মাউশি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তালিকা সংগ্রহ করে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অনেক বাবা তার
সন্তানের স্বাবলম্বী হবার পথটি চেয়ে বসে আছেন, স্ত্রী স্বামীর, সন্তান বসে
থাকেন তার বাবা কখন মজা নিয়ে আসবেন। কিন্তু তার বাবা যে আজ বড়ই অসহায়।
মহোদয় সমীপে বিনীত প্রার্থনা এই যে,
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহে সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্ত আইসিটি
শিক্ষকদের এমপিও প্রদানে আপনার যেন মর্জি হয়।
লেখক: উছমান গনি, সহকারী শিক্ষক, আইসিটি, হাজী সোহরাব আলী উচ্চ বিদদ্যালয়, জাফলং, গোয়াইনঘাট, সিলেট।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন