শিক্ষা ব্যবস্থায় আবারও বড় ধরনের সংস্কার আসছে। পাঠ্যক্রম থেকে শুরু করে
পাঠ্যবই, পাঠ্যসূচি, পাঠদান, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা নেয়া, খাতা দেখা
সবক্ষেত্রেই আসছে সংস্কার। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে গতানুগতিক
শিক্ষা ব্যস্থাকে ঢেলে সাজাতেই এ উদ্যোগ। তিন দিন ধরে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে
মতবিনিময় করে সংস্কারের এ রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। আজ দুপুরে সংবাদ
সম্মেলনে রোডম্যাপ প্রকাশ করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, নতুন সংস্কার পরিকল্পনা অনুযায়ী এসএসসিতে সর্বোচ্চ ৯ বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায়ও ১৩টি বিষয় থাকছে। মূল পরীক্ষা নেয়ার দীর্ঘসূত্রতা এবং শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ দূর করতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হবে। আপাতত শারীরিক শিক্ষা, জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষাসহ ৪ থেকে ৫টি বিষয় থাকবে না কেন্দ্রীয় পরীক্ষায়। তবে এসব বিষয় রেখে স্কুলপর্যায়ে পরীক্ষা নেয়া হবে, না অন্য বিষয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিশেষজ্ঞ কমিটি বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে এ ব্যাপারে সুপারিশ করবে। আর সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত আসবে। নতুন সংস্কার অনুযায়ী আগামী ১ জানুয়ারি যেসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণীতে উঠছে তারা ২০১৯ সালে এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় ৮-৯টি বিষয়ে পরীক্ষা দেবে।
সূত্র জানায়, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় রচনা করার বিষয়েও একমত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী ইংরেজি ও বিজ্ঞানের সব বিষয়ের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি পর্যালোচনা শেষে পরিমার্জন করে সহজ ভাষায় বই ও ছোট আকারে দেয়া হবে। মানবিকে এখন পর্যন্ত অর্থনীতি বিষয় সংস্কারের তালিকায় আছে। বাকিগুলো সংস্কার করা হবে কিনা, তা কমিটি সুপারিশ করবে। এছাড়া যুগোপযোগী বিষয় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২০১৮ সালের শিক্ষাবর্ষেই নতুন সংস্করণের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
সূত্র আরও জানায়, সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে পারেন না অনেক শিক্ষক। চলতি জেএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন গাইডবই থেকে হুবহু তুলে দেয়া হয়। এ ধরনের অসংখ্য ঘটনায় শিক্ষকদের প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ। ফলে গাইড বইর প্রতি শিক্ষার্থীদের আসক্তি বাড়ছে। কাজে আসছে না সৃজনশীল পদ্ধতি। যে কারণে প্রশ্নপত্র প্রণয়নে সরকার শিক্ষকদের দিয়ে একটি প্রশ্নভাণ্ডার তৈরি করবে। এটি থাকবে শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত। এখান থেকে শিক্ষকরা প্রশ্ন তৈরি করবেন।
বর্তমান পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি গ্রেডিং পয়েন্ট (জিপিএ) নিয়েও কর্মশালা হয়েছে। এতে ইরেজি মাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা মূল্যায়ন পদ্ধতি অর্থাৎ এডেক্সেল ও ক্যামব্রিজের লেখাপড়া নিয়েও মূল্যায়নের সুপারিশ করেন শিক্ষাবিদরা। সৃজনশীল পদ্ধতির জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রশ্ন ব্যাংক তৈরি করার কথা বলেন তারা। এ প্রশ্নব্যাংকে দুটি অংশ থাকবে। একটি হচ্ছে গোপনীয়। এটি বোর্ড ব্যবহার করবে। আরেকটি উন্মুক্ত। সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে প্রশ্ন ও উত্তর লেখার ধারণা নিতে পারবে।
পাবলিক পরীক্ষায় উত্তরপত্র মূল্যায়নের ভুলে ভালো শিক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হয়েছে। দক্ষ শিক্ষকরা উত্তরপত্র দেখায় আগ্রহী নন। তারা কোচিং ও প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। অপেক্ষাকৃত কম দক্ষ শিক্ষক উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন। ফলে একই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন নম্বর পাচ্ছে। যে কারণে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) গবেষণার মাধ্যমে সমতার ভিত্তিতে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য সুপারিশ তুলে ধরে। এর আলোকে প্রত্যেক শিক্ষা বোর্ডে শিক্ষকদের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। এসএসসি-এইচএসসিসহ পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন বাধ্যতামূলক হবে। শিক্ষা বোর্ড যাকে চাইবে, তাকেই পরীক্ষক হতে হবে।
উল্লেখ্য, এসব সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে এর আগে ১২ নভেম্বর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) শিক্ষকদের সঙ্গে মতামত সভা হয়। পাঠ্যক্রম, পাঠ্যবই পরিবর্তন করার জন্য বইয়ের লেখক, সম্পাদকদের মতামত নেয়া হয় ২১ নভেম্বর। তাদের মতামতের আলোকে গত শুক্র ও শনিবার কক্সবাজারে আবাসিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের প্রোভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বোর্ড চেয়ারম্যানরা অংশ নেন। কর্মশালায় কারিকুলাম পর্যালোচনা, নির্বাচিত পাঠ্যপুস্তকের মান উন্নয়ন ও ভাষা প্রাঞ্জলকরণ, প্রশ্নভাণ্ডার ও পরীক্ষা সংক্রান্ত মোট চারটি সাবকমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব কমিটির পরামর্শ ও মতামতের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢেলে সাজাবে পুরো শিক্ষা পদ্ধতি। এর আগে গত সেপ্টেম্বরেও পাবলিক পরীক্ষা সংস্কার বিষয়ে কক্সবাজারে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ কমিটির মতমাতের আলোকে আগামী এসএসসি পরীক্ষার সৃজনশীল প্রশ্নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সূত্রঃ
সূত্র জানায়, নতুন সংস্কার পরিকল্পনা অনুযায়ী এসএসসিতে সর্বোচ্চ ৯ বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায়ও ১৩টি বিষয় থাকছে। মূল পরীক্ষা নেয়ার দীর্ঘসূত্রতা এবং শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ দূর করতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হবে। আপাতত শারীরিক শিক্ষা, জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষাসহ ৪ থেকে ৫টি বিষয় থাকবে না কেন্দ্রীয় পরীক্ষায়। তবে এসব বিষয় রেখে স্কুলপর্যায়ে পরীক্ষা নেয়া হবে, না অন্য বিষয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিশেষজ্ঞ কমিটি বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে এ ব্যাপারে সুপারিশ করবে। আর সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত আসবে। নতুন সংস্কার অনুযায়ী আগামী ১ জানুয়ারি যেসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণীতে উঠছে তারা ২০১৯ সালে এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় ৮-৯টি বিষয়ে পরীক্ষা দেবে।
সূত্র জানায়, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় রচনা করার বিষয়েও একমত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী ইংরেজি ও বিজ্ঞানের সব বিষয়ের পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি পর্যালোচনা শেষে পরিমার্জন করে সহজ ভাষায় বই ও ছোট আকারে দেয়া হবে। মানবিকে এখন পর্যন্ত অর্থনীতি বিষয় সংস্কারের তালিকায় আছে। বাকিগুলো সংস্কার করা হবে কিনা, তা কমিটি সুপারিশ করবে। এছাড়া যুগোপযোগী বিষয় পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২০১৮ সালের শিক্ষাবর্ষেই নতুন সংস্করণের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
সূত্র আরও জানায়, সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে পারেন না অনেক শিক্ষক। চলতি জেএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন গাইডবই থেকে হুবহু তুলে দেয়া হয়। এ ধরনের অসংখ্য ঘটনায় শিক্ষকদের প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ। ফলে গাইড বইর প্রতি শিক্ষার্থীদের আসক্তি বাড়ছে। কাজে আসছে না সৃজনশীল পদ্ধতি। যে কারণে প্রশ্নপত্র প্রণয়নে সরকার শিক্ষকদের দিয়ে একটি প্রশ্নভাণ্ডার তৈরি করবে। এটি থাকবে শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত। এখান থেকে শিক্ষকরা প্রশ্ন তৈরি করবেন।
বর্তমান পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি গ্রেডিং পয়েন্ট (জিপিএ) নিয়েও কর্মশালা হয়েছে। এতে ইরেজি মাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা মূল্যায়ন পদ্ধতি অর্থাৎ এডেক্সেল ও ক্যামব্রিজের লেখাপড়া নিয়েও মূল্যায়নের সুপারিশ করেন শিক্ষাবিদরা। সৃজনশীল পদ্ধতির জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রশ্ন ব্যাংক তৈরি করার কথা বলেন তারা। এ প্রশ্নব্যাংকে দুটি অংশ থাকবে। একটি হচ্ছে গোপনীয়। এটি বোর্ড ব্যবহার করবে। আরেকটি উন্মুক্ত। সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে প্রশ্ন ও উত্তর লেখার ধারণা নিতে পারবে।
পাবলিক পরীক্ষায় উত্তরপত্র মূল্যায়নের ভুলে ভালো শিক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হয়েছে। দক্ষ শিক্ষকরা উত্তরপত্র দেখায় আগ্রহী নন। তারা কোচিং ও প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। অপেক্ষাকৃত কম দক্ষ শিক্ষক উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন। ফলে একই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন নম্বর পাচ্ছে। যে কারণে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) গবেষণার মাধ্যমে সমতার ভিত্তিতে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য সুপারিশ তুলে ধরে। এর আলোকে প্রত্যেক শিক্ষা বোর্ডে শিক্ষকদের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। এসএসসি-এইচএসসিসহ পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন বাধ্যতামূলক হবে। শিক্ষা বোর্ড যাকে চাইবে, তাকেই পরীক্ষক হতে হবে।
উল্লেখ্য, এসব সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে এর আগে ১২ নভেম্বর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) শিক্ষকদের সঙ্গে মতামত সভা হয়। পাঠ্যক্রম, পাঠ্যবই পরিবর্তন করার জন্য বইয়ের লেখক, সম্পাদকদের মতামত নেয়া হয় ২১ নভেম্বর। তাদের মতামতের আলোকে গত শুক্র ও শনিবার কক্সবাজারে আবাসিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের প্রোভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বোর্ড চেয়ারম্যানরা অংশ নেন। কর্মশালায় কারিকুলাম পর্যালোচনা, নির্বাচিত পাঠ্যপুস্তকের মান উন্নয়ন ও ভাষা প্রাঞ্জলকরণ, প্রশ্নভাণ্ডার ও পরীক্ষা সংক্রান্ত মোট চারটি সাবকমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব কমিটির পরামর্শ ও মতামতের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢেলে সাজাবে পুরো শিক্ষা পদ্ধতি। এর আগে গত সেপ্টেম্বরেও পাবলিক পরীক্ষা সংস্কার বিষয়ে কক্সবাজারে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এ কমিটির মতমাতের আলোকে আগামী এসএসসি পরীক্ষার সৃজনশীল প্রশ্নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সূত্রঃ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন