কয়েক বছর আগে যে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জুনিয়র
স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমানের পরীক্ষা চালু হয়েছে, তা কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব
বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রুল জারি করে।
রিটকারী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতে নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব,
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা
বোর্ডের চেয়ারম্যান, ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা
সচিব এবং ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজকে এই রুলের জবাব দিতে বলা
হয়েছে।
ইউনুছ আলী তার রিট আবেদনে বলেছেন, ১৯৬১
সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধ্যাদেশে এ ধরনের পরীক্ষার কথা
বলা না থাকলেও সরকার প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে জেএসসি পরীক্ষা চালিয়ে আসছে। এতে
শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ বাড়ার পাশাপাশি কোচিং বাণিজ্য বাড়ছে।
প্রাথমিক স্তর অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত
হওয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বছর থেকেই পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী
পরীক্ষা উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও ২৭ জুন তাতে অসম্মতি জানায়
মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম
ওইদিন সাংবাদিকদের বলেন, “ক্লাস ফাইভে যে সমাপনী পরীক্ষাটা হয়, এটা বাতিল
করে অষ্টম শ্রেণিতে প্রাইমারি সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার একটা প্রস্তাব ছিল।
মন্ত্রিসভা এটা বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফের উপস্থাপনের জন্য বলেছে।
“মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবটি চূড়ান্ত না হওয়া
পর্যন্ত আগের মত প্রাথমিক সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা
চলতে থাকবে। মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল- মন্ত্রিসভা তা মানেনি, এবারও
পরীক্ষা হবে।”
জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে প্রাথমিক
শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করে গত ১৮ মে তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করে সরকার।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে ২০০৯ সালে পঞ্চম
শ্রেণিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রচলন হয়। পরের বছর মাদ্রাসার
শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হয় ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা।
আর ২০১০ সালের ১৫ জুন জারি করা এক
প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে আয়োজন
করা হচ্ছে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন