মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের
(মাউশি) সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন গত সোমবার (২৯ আগস্ট) দৈনিক
শিক্ষার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি
মামলা করেন।
দৈনিক শিক্ষা সম্পাদককে শুক্রবার ঢাকার
মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে
জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান রমনা থানায় করা এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা
পুলিশের সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক শওকত
আলী সরকার।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ
মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনকে নিয়ে
‘অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে অশালীন প্রতিবেদন’ প্রকাশ করেছেন সিদ্দিকুর রহমান
খান।
রিমান্ডের বিরোধিতা করে দৈনিক শিক্ষা সম্পাদকের জামিন চান তার আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, মবিনুল ইসলাম ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার।
খুরশীদ আলম খান রিমান্ডের বিরোধিতায়
আদালতকে বলেন, যথাযথ কাগজপত্রের ভিত্তিতেই শিক্ষা ডটকমে ওই প্রতিবেদন
প্রকাশ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা করা যায়
না। এই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো সুযোগই নেই। শুধু হয়রানি করার জন্যই
পুলিশ তাঁর রিমান্ডের আবেদন করেছে।
মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন শুনানি শেষে
রিমান্ড নাকচ করে সিদ্দিকুর রহমান খানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং
প্রয়োজনে প্রয়োজনে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের
অনুমতি দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন